নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য ৫টি করণীয় কাজ
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়ামনরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় প্রতিটি নারীর জানা উচিত। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ নারীরা নরমাল ডেলিভারি করাতে চাই না। কিন্তু নরমাল ডেলিভারি হলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই আজকের আর্টিকেল নরমাল ডেলিভারি নিয়ে।
পেজ সূচিপত্রঃ নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ
- নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার কারণ
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া
- নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়
- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম
- বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়
- কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব
- আমাদের শেষ কথা
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয়
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় জানা থাকলে কোন ধরনের কষ্ট ছাড়াই আমরা বাচ্চা জন্ম দিতে পারব। বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলারা এ বিষয় গুলো সম্পর্কে জানেনা যার ফলে তারা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না। কোন মহিলা যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে এবং প্রথম সন্তান হয় তাহলে তার বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানা উচিত। তাই আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে করণীয় গুলো উল্লেখ করা হলো।
- পূর্ব পরিকল্পনা করে গর্ভধারণ
- সঠিক বয়সে গর্ভধারণ
- উচ্চতা এবং ওজন সঠিক রাখা
- নিয়মিত চেকআপ করা
- খাদ্য তালিকা ঠিক রাখা
পূর্ব পরিকল্পনা করে গর্ভধারণঃ সাধারণত বেশিরভাগ স্বামী স্ত্রীরা পূর্ব পরিকল্পনা করে বাচ্চা নেয় না। যদি আপনি গর্ভধারণ করতে চান এবং বাচ্চা নিতে চান তাহলে একটা পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী বাচ্চা নেওয়া যায় তাহলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা পৃথিবীতে আনা সম্ভব। না হলে নরমাল ডেলিভারি অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়।
সঠিক বয়সে গর্ভধারণঃ নরমাল ডেলিভারিতে যদি বাচ্চা জন্ম দিতে চায় তাহলে সঠিক বয়সে বাচ্চা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিষয় হচ্ছে একজন নারীর বাচ্চা নেওয়ার উপযুক্ত বয়স হিসেবে বিবেচনা করা হয় ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সে। এই বয়সের মধ্যে বাচ্চা নিলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্মানো সম্ভব।
উচ্চতা এবং ওজন সঠিক রাখাঃ নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গর্ভবতী মায়ের উচ্চতা এবং ওজন সঠিক রাখা অর্থাৎ বি এম আই ঠিক থাকা। যদি উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা জন্ম দেওয়া সম্ভব।
নিয়মিত চেকআপ করাঃ গর্ভে বাচ্চার অবস্থান কেমন রয়েছে সাধারণত এই বিষয়টি নির্ণয় করার জন্য নিয়মিত চেকআপ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে আপনি যদি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দিতে চান তাহলে নিয়মিত চেকআপ করাবেন। এতে করে বাচ্চার অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে এবং নরমাল ডেলিভারিতে হবে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
খাদ্য তালিকা ঠিক রাখাঃ নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো খাদ্য তালিকা ঠিক রাখা। গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা ঠিক না থাকার কারণে অনেক সময় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ জানা থাকলে আগে থেকেই আমরা বুঝতে পারবো যে বাচ্চার নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে হবে নাকি সিজার করার প্রয়োজন? তাছাড়া যখন বাচ্চা হওয়ার সময় হয় সাধারণত তখন বেশ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পাই এই লক্ষণ গুলো থেকেও বোঝা যায় যে কোন মাধ্যমে ডেলিভারি হবে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের এই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। শুধু গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে নয় পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের ক্ষেত্রে এই তথ্যগুলো জানা উচিত।
১। গর্ভের সন্তান কিছুটা নিচে নামা নরমাল ডেলিভারির অন্যতম প্রধান লক্ষণ। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই গর্ভবতী মা অনুভব করতে পারবে যে তার গর্ভের সন্তান কিছুটা নিচে নেমে গিয়েছে।
২। স্রাবের দলা নিঃসৃত হয়ে যাওয়া নরমাল ডেলিভারির অন্যতম আরেকটি লক্ষণ। আপনি যদি লক্ষ্য করতে পারেন যে জরায়ুমুখ বড়ো হওয়া শুরু করেছে সাধারণত তখন যোনি দিয়ে একদলা স্রাব বের হয়ে সেগুলো জরায়ুর মুখে জমা হয়। এটি নরমাল ডেলিভারি হওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ।
৩। রক্ত মিশ্রিত স্রাব দেখা যাওয়া নরমাল ডেলিভারি হওয়ার আরেকটি অন্যতম প্রধান লক্ষণ। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে জরায়ুর মুখে নরম এবং পাতলা হতে শুরু করবে এবং তখন যোনি দিয়ে রক্ত মাখা স্রাব বের হতে পারে। সাধারণত এটি নরমাল ডেলিভারির লক্ষণ।
৪। জরায়ুর মুখ পাতলা এবং বড় হয়ে যাওয়া। যদি নরমাল ডেলিভারি হয় তাহলে সময় শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার জরায়ুর মুখ বড় হয়ে গিয়েছে এবং অনেকটা পাতলা হয়ে গিয়েছে।
নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার কারণ
নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার কারণ চলুন জেনে নেওয়া যাক। একজন গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ এই কারণগুলো সম্পর্কে জানে না। নিজেদের সতর্ক হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাছাড়া নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দিতে হলে উপরের করণীয় গুলো অনুসরণ করতে হবে।
১। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা না করা নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। আমরা অনেকেই সন্তান নিয়ে থাকি কিন্তু সন্তান নেওয়ার পূর্বে কখনোই পরিকল্পনা গ্রহণ করি না। আর এই পরিকল্পনার অভাবেই নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। তাই সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা না করাকে নরমাল ডেলিভারি না হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২। অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চা গ্রহণ করার ফলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চার জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা জানি একজন নারীর বাচ্চা জন্ম দেওয়ার উপযুক্ত বয়স হলো ২০ বছর থেকে ৩৫ বছর। সাধারণত ২০ বছরের আগে অথবা ১৮ বছরের আগে নারীরা গর্ভধারণ করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যায়।
৩। অতিরিক্ত বয়সে বাচ্চা গ্রহণ করার পরে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব হয় না। বর্তমান সময়ে বেশ কিছু নারীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অতিরিক্ত বয়সে গিয়ে বাচ্চা নিয়ে থাকে। সাধারণত এই অতিরিক্ত বয়সে বাচ্চা নেওয়ার কারণেই বাচ্চাকে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। বিভিন্ন জটিলতার কারণে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা নিতে হয়
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময়
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় আলোচনা করা হয়েছে। এখন নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। নরমাল ডেলিভারি করতে হলে অবশ্যই উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই করতে হবে। যদি উপযুক্ত সময় পার হয়ে যায় তাহলে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। তাই প্রতিটি গর্ভবতী মা এবং পরিবারের সদস্যদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সময় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কিভাবে বাচ্চা জন্ম দেওয়া যায় এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি এই বিষয় গুলো জানা অত্যন্ত জরুরী।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া কোনটি চলুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক। সাধারণত আমরা যারা মুসলিম রয়েছি তারা সব কিছুর জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে থাকি। ঠিক একই রকম ভাবে আমাদের সন্তান যেন নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে এই জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এখন বিষয় হচ্ছে যে নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন দোয়া করতে হবে? প্রতি ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে এবং বেশ কিছু আমল রয়েছে যেগুলো নিয়মিত করতে হবে।
যদি কোন গর্ভবতী স্ত্রী তার গর্ভ বিনষ্টের আশংকা করে থাকে অথবা গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠের স্বাভাবিক দিন অতিবাহিত হয়ে যায় তবে সে যেন আল্লাহতালার গুণবাচক নাম "আল-মুবদিয়ু" ৯০ বার পাঠ করে তার পেটের উপরে শাহাদাত আঙ্গুল দিয়ে ঘুরিয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাই এই আমলটি করার জন্য গর্ভের সন্তান ভালো অবস্থানে থাকবে। সাধারণত এই কাজটি গর্ভবতী স্ত্রী নিজে অথবা তার স্বামী ও করতে পারে।
নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়
নরমাল ডেলিভারি কত দিনে হয়? এই বিষয়টি জানার আগে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় গুলো সম্পর্কে আমাদেরকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। প্রতিটি নারীর জন্য নরমাল ডেলিভারি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান সময়ের নারীরা সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তবে বেশিরভাগ নারীরা সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেয়। গর্ভধারণের ২৪০ দিন অর্থাৎ ৪০ সপ্তাহের মধ্যেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম হয়ে থাকে। সবার ক্ষেত্রে যে একই দিনে বাচ্চা জন্ম হবে বিষয়টি কিন্তু এরকম নয়। কারো ক্ষেত্রে আগে আবার কারো ক্ষেত্রে পরে হতে পারে।
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার ব্যায়াম কোন গুলো? চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক। কোন নারী যদি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে চায় তাহলে তাকে বেশ কিছু করণীয় অনুসরণ করতে হয় এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই নরমাল ডেলিভারির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক যে নরমাল ডেলিভারির জন্য কোন ব্যায়াম গুলো করা যায়?
নরমাল ডেলিভারির জন্য অ্যারোবিক শরীর চর্চা করা যেতে পারে এটিকে কার্ডিও বলা হয়ে থাকে। সাধারণত এ ধরনের ব্যায়াম এর মাধ্যমে আমাদের হাত-পায়ের মতো বড় বড় পেশি গুলো নির্দিষ্ট ছন্দে নড়াচড়া করা যায়। এর কারণে আমাদের হার্ট রেট বা হৃৎস্পন্দন বাড়তে শুরু করে। যেভাবে ব্যায়াম গুলো করবেন দ্রুত হাঁটা, সাঁতার কাটা, কাঁচা অথবা সাইকেল চালানো। গর্ভাবস্থায় নরমাল ডেলিভারির জন্য এই ব্যায়াম গুলো বেছে নিতে পারেন। মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য বেশকিছু ব্যায়াম করতে পারেন।
বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়
বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়? গর্ভবতী মা থেকে শুরু করে পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের এই বিষয় গুলো জেনে রাখা উচিত। এখন বিষয় হচ্ছে যে অনেকে প্রশ্ন করবে গর্ভের সন্তানের ওজন কিভাবে নির্ণয় করা যাবে? গর্ভের সন্তানের অবস্থান জানার জন্য আমরা নিয়মিত আলট্রাসনোগ্রাম করে থাকি। এই আলট্রাসনোগ্রাম করার সময় বাচ্চার ওজন কত আছে সাধারণত এই বিষয়টি নির্ণয় করা হয়ে থাকে। তাই আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময় এ বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে গর্ভে একজন সুস্থ বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজির মধ্যে হয়ে থাকে। মায়ের জরায়ুর মধ্যে যদি কোন জটিলতা না থাকে তাহলে খুব সহজেই এই ওজনের বাচ্চা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে জন্ম দেওয়া সম্ভব। যদি বাচ্চার ওজন ৪ কেজি চাইতে বেশি হয় তাহলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়া অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ। সাধারণত এই সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সিজার এর মাধ্যমেই বাচ্চা জন্ম দেওয়া উত্তম।
কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব
কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব? আমরা অনেকেই জানিনা। অনেক সময় আমরা বয়স্ক অবস্থায় বাচ্চা নিয়ে থাকি। নরমাল ডেলিভারি করাতে হলে কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রতিটি গর্ভবতী মা এবং তার পরিবারের সদস্যদের জানতে হবে। যদি কোন নারী ৩৫ বছর বয়সে গর্ভধারণ করে তাহলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তবে শরীর যদি সুস্থ থাকে এবং কোন ধরনের জটিলতা না থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করানো সম্ভব।
আমাদের শেষ কথা
নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য করণীয় নিয়ে আলোচনা শুরু করে এই বিষয়ে সকল ধরনের তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত আমাদের আর্টিকেল পড়ে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া। নারী হিসেবে যেহেতু আমাদেরকে সন্তান জন্ম দিতে হবে সেহেতু এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া প্রতিটি নারীর দায়িত্ব। এতে করে স্বাস্থ্য সচেতনতা অনেকটাই বেড়ে যায়।
এতক্ষণ আমাদের আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক বিষয় নিয়মিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। 25427
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url