১ মিনিটে ঘুম আসার ৪টি সহজ উপায়
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় ঘুম আমাদের শরিরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন আমাদের সকলের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে রাত জাগা মানুষ নাই এরকম খুজে পাবেন না যার কারনে একটি বড় সমস্যা হলো বিছানাই যাওয়ার পরও ঘুম আসেনা যাকে আমরা ইংরেজিতে বলি Sleep Disorders.
অনেকে বিশ্বাস করেন না ১ মিনিটে কিভাবে ঘুম আসবে তাদের উদ্দেশ্যে বলি আপনি কৌশলগুলো কিছুদিন অবলম্বন করুন তারপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ঘুম আসে কিনা। আপনি যদি ১ মনিটের মধ্যে ঘুমাতে চান তাহলে জেনে নিন কয়েকটি কৌশল। বিষয়গুলি মোনোযোগ সহকারে পরার উনুরোধ রইলো আশা করি আপনি উপর্কৃত হবেন।
পেজ সূচিপত্রঃ ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
নিচের যেকোন অংশ পড়তে চাইলে ক্লিক করুন
- ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
- ১ মিনিটে ঘুম আসার দোয়া
- প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার উপায়
- রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
- রাতে ঘুম আসে না কেন
- রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
- ঘুম বৃদ্ধির খাবার
- রাতে ঘুমানোর আগে যেই জিনিস গুলো দূরে রাখবেন
- শেষ কথা
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় অনেকে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন আবার অনেকে বিছানায় শুয়ে যাওয়ার পরও ঘুম আসতে চাইনা। যারা অতিরিক্ত রাত জাগেন তাদের এই খুব দ্রুত ঘুমানোর উপায়টি নাই বল্লেই চলে চেষ্টা করলেও সম্ভব হয় না। তাই আপনাদের সর্বপ্রথম উচিত প্রতিদিন খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তা না হলে আপনার দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি হবে না। আমরা দ্রুত ঘুমানোর অভ্যাসের জন্য বিশেষ কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি সম্পূর্ন পড়লে বুঝতে পারবেন।
- ব্রিদিং টেকনিকের শ্বাস-প্রশ্বাস এর কাজ
- Sleep Hacks এর কৌশল
- Sleep Paradox এর কৌশল
- শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম
ব্রিদিং টেকনিকের শ্বাস-প্রশ্বাস এর কাজঃ ধরেন হঠাৎ আপনার মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেলো তারপর আর ঘুম আসছে না তখন আর সহজে ঘুম আসতে চাইনা প্রতিদিন ঘুমানোর সময় আজ ঘুমিয়ে যাবো বলে আর ঘুমাতে পারেন না তবে ঘুমানোর প্রিপারেশন নিয়ে যদি অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান যেমন মোবাইল কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহার তাহলে কিন্তু আপনার এই কৌশল কোনো কাজে আসবে না।
৪ ৭ ৮ কৌশল হলো আপনি ৪ সেকেন্ডের জন্য নিশ্বাস বা শ্বাস নেন তারপর ৭ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রাখেন এরপর ৮ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ছেড়েদেন এইভাবে প্রতিদিন ঘুমানোর পূর্বে করতে থাকবেন মোট ৬ সপ্তাহ। করতে পারলে আপনার বিশ্বাস হবে এবং একটি ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাবেন। এই কৌশলে আপনার শরীরের চাপ কমে যায় এবং মন শান্ত হয়ে উঠে এতে আপনার ঘুমাতে সাহায্য করে।
এই কৌশল প্রতিনিয়ত করতে থাকলে আপনি ৬০ সেকেন্ডে বা ১ মিনিটে ঘুমাই যেতে পারবেন। শুধু ঘুমি নয় আপনার অনিদ্রার যেমন দূর হবে তেমন আপনার যদি রাগ, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা থাকে এইগুলোও নিয়ন্ত্রন করা যাবে। এই কৌশলটি হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকার বলে জানা গেছে। যদি আপনি এই কৌশলে অভস্ত হন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার মানসিক চাপ উদ্বেগের সমস্যাসহ নিদ্রাহীনতা ঠিক করে দিতে পারে।
Sleep Hacks এর কৌশলঃ যদি আপনি ১ মিনিটের মধ্যে ঘুমাতে চান তাহলে স্লিপ হ্যেক এর কৌশল আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে। আমাদের এরকম হয় যেমন বিছানায় ঘুমাতে গেলাম অনেকখন শুয়ে পরার পর এপাশ ওপাশ করেও কোনোমতেই ঘুম আসছে না আবার বিভন্ন চিন্তা মাথায় আসে অনেক কিছু ভাবতে থাকেন। শুয়ে যাওয়ার পরও এক দুই ঘন্টা পার হয়ে যায় তারপরও ঘুম ধরে না একে আমরা বলি নাইট ইনসমনিয়ার এই অবস্থাই থেকে বাচতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কিছু অভ্যাস চেন্জ করতে হবে। দেরি করে ঘুমানোর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আপনাকে যেইসব করতে হবে তা হলো
- শুয়ে যাওয়ার পর বিছানাই মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি নিয়ে যাবেন না।
- টিভি বন্ধ করবেন ও রুমের লাইট অফ করবেন অন্ধকার রুমে ঘুম ভলো আসে
- প্রয়োজনে হালকা আলো থাকার ব্যবস্থা করবেন যেনো চোখে না এসে পরে এমন আলো
- ঘুমানোর জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলুন নরম বালিশে ঘুমান
- দুপুরে ঘুমাবেন না ঘুমালে রাতে সহজে ঘুম আসতে চাই না
- ঘুমানোর আগে চা, কফি ইত্যাদি খাবেন না ঘুমের ব্যঘাত ঘঠায়।
- রাতে ঘুমানোর পূর্বে বেশি পানি পান করবেন না প্রয়োজনে খুব অল্প খাবেন
আপনি নিয়মিত রুটিন গুলো মেনে চলুন প্রতিদিন রাতে ঠিক সময় ঘুমিয়ে আবার সকালে একই সময় ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন দেখবেন আপনি প্রতিদিন যেই সময় ঘুমান ঠিক প্রতিদিন সেইসময় আপনার ঘুম আসবে তখন সব কাজ বাদ দিয়ে আপনাকে ঘুমাতে হবে। মানুষ অভ্যাসের দাস টিপস গুলো ফলো করুন দেখবেন সত্যি ঘুম আসবে।
Sleep Paradox এর কৌশলঃ বেশিরভাগ মানুষ রাতে ঘুমাতে গেলেও ঘুম আসে না ফলে ঠিক মতন ঘুম হয়না তার প্রতিফলন নানা সমস্যা মানসিক, শারীরীক আরো অনেক। মিনিটে ঘুম আসার উপায় বিভন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে মানুষ। বর্তমান বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৮৬% মানুষ অনিদ্রায় ভুগছে যা জরিপে দেখা গেছে। একটি সুস্থ মানুষের ঘুম আসতে সময় লাগে মাত্র ৭ মিনিট সেখানে ঘন্টা পার হয়ে যায় তারপরও ঘুম আসে না। চেষ্টা করুন নিজেকে যতটা পারেন অন্তত রাতে চাটপট ঘুমিয়ে যাওয়া।
এই কৌশল আপনার মতে ভিন্ন মনে হতে পারে তবে এই কৌশল করেও অনেকে অনিদ্রাকে জয় করতে পেরেছে। চলুন জেনে নিই কৌশল গুলো। কল্পনা করুন এই কল্পনা আপনার মেডিটেশন কাজে দেয় ও চটপট ঘুম আসতে সাহায্য করে। মনে করুন আপনার লাইফে ভালো এমন কিছু ঘটেছিলো সেই ব্যাপারে ভাবেন ভাবতে ভাবতে আপনার ঘুম চলে আসবে।
কল্পনা করুন কোথাও সুন্দর পরিবেশে ঘুরতে গেছেন জায়গাটা অনেক সুন্দর ফুলের বাগান নদী ইত্যাদি ভাবতে থাকেন দেখবেন আপনি কখন ঘুমিয়ে পড়েছেন নিজেও বুঝতে পারেননি। ধরেন আপনার ঘুম আসছে না এবার কি করবেন আপনি আপনার মনকে বোঝান আমি ঘুমাবো না এতে আপনার মন ঠিক তার উল্টো কাজ করবে আপনার মন শান্ত করে ঘুমানোর অবস্থাই নিয়ে যাবে।
শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামঃ অনেকে দেখবেন প্রতিনিয়ত জিম করে আপনার পরিচিত যদি কেউ থাকে থাহলে একবার প্রশ্ন করবেন জিম বা ব্যায়াম করার পর তার রাতে কেমন ঘুম আসে সে বলবে যে হ্যা রাতে খুব সহজেই ঘুম চলে আসে। রাতে ঘুমানোর জন্য অনেকে ঔষধ সেবন করে থাকেন ঔশধ সেবন করা কোন সমাধান না এতে আপনার ক্ষতি। আপনি ব্যায়াম করুন শারীরিক পরিশ্রম করুন দিনের বেলাই ঘরের কাজ করুন বাহিরে কাজ করুন শরীরকে ক্লান্তি করেন দেখবেন দিন শেষে ঘুম চলে আসবে।
অনেকে প্রতিদিন অনেক পরিশ্রম করে দিন শেষে রাতে বিছানাই পরলেই ঘুমেয়ে পরে সারাদিনের ক্লান্তি যখন রাতে বাসায় আসেন তখন দেখবেন আপনার সুধু ঘুমাতে ইচ্ছা করবে। তাদের ঘুম কিভাবে আসে তাদের শরীর ক্লান্ত থাকে তাই ঘুম চলে আসে। আপনি চাইলে বাসায় বসে হালকা পাতলা ব্যায়াম করতে পারেন শরীরচর্চা করতে পারেন ঘরের অন্যান্য পরিশ্রম কাজ করতে পারেন দেখবেন রাতে ১ মিনিটে কেন তারো আগে ঘুমায় যেতে পারবেন।
১ মিনিটে ঘুম আসার দোয়া
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় দোয়া অনেকে জানতে চান আজকে আপনাদের দ্রুত ঘুমানোর ইসলামের কোরআনে যেই দোয়া শিক্ষা দিয়া রয়েছে তা আপনাদের জানাবো। প্রথমে আপনাকে ওযু করে পাক পবিত্র হয়ে বিসমিল্লাহ বলে মনে নিয়ত করে পড়বেন “বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়াহইয়া” অর্থ- “হে আল্লাহ তোমার নামে আমি মৃত্যুবরণ করি এবং জীবিত হই”। তোমার নামে মৃত্যু বরণ করি মানে আপনি ঘুমিয়ে পড়লেন এবং জীবিত হই মানে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার কথা বোঝায়। প্রতিদিন এই দোয়ার অভ্যাস করতে পারলে আপনার আল্লাহর রহমত থেকে ঘুম চলে আসবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার উপায় বা ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় আপনি যদি প্রকৃতিক নিয়মে ঘুমাতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেল মোনোযোগ দিয়ে পড়ুন আপনার দ্রুত ঘুম চলে আসবে। অনেকে আছেন বিছানায় শুয়ে যাওয়ার পরও যখন ঘুম আসে না তখন এপাশ-ওপাশ করতে থাকেন কিন্তু ঘুম আসেনা এর করনীয় হচ্ছে আপনি বিছানা থেকে তৎক্ষনাক তখনি উঠে পড়ুন এবং এমন কিছু কাজ করুন জানো আপনার শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ক্লান্তি ঘুম আসতে সাহায্য করে।
যতক্ষন ঘুম না আসে আধাঘন্টা বা এক ঘন্টা কোনো কাজে ব্যাস্ত থাকুন দেখবেন আপনার ঘুমের জন্য ডাক দিবে। যদি কোনো কাজ না করতে চান তাহলে বই পড়তে পারেন বা হালকা হাটাহাটি করতে পারেন। কাজ গুলো হালকা অন্ধকারে করতে হবে বেশি আলোতে করবেন না। বেশি আলোতে করলে ঘুম আসবে না। তাই দ্রুত ঘুমাতে চাইলে শরীরকে একটিু ক্লান্ত করুন।
অনেকে আছেন যারা চা বা কফি খেয়ে রাতে ঘুমাতে যান কফি খেলে আপনার ঘুম আসার সম্ভাবনা কম থাকে। যাদের এরকম অভ্যাস তারা যদি দ্রুত ঘুমাতে চান তাহলে চা বা কফি ছাড়ুন। ক্যাফেইন জাতীয় খাবার আপনার ঘুম আসতে বাধা দেয়। ঘুমানোর আগে চা বা কফি খাবেন না। খেতে চাইলে বিকালে বা সন্ধাই খাবেন তারপরে আর না।
আপনি যদি প্রকৃতিক উপায়ে ঘুমাতে চান তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করে বিছানাই যেতে পারেন। আপনার যদি ঘুমানোর সমস্যা থাকে তাহলে রাতে একবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার শরীরকে শিথিল করে এবং ঘুম আসতে সাহায্য করবে।
দ্রুত ঘুমানোর জন্য একটি চমৎকার পদ্ধতি আছে সেটি হলো ধ্যান করা বা কল্পনা করা। আপনি বিছানাই যওয়ার পর ধ্যান করতে পারেন তাহলে আপনি কখন ঘুমিয়ে পরবেন নিজেও টের পাবেন না। ২০০৯ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায় ধ্যান মানুষের শরীরের ইনসমনিয়া বা ঘুমের সমস্যার সাথে লড়াই করে।তাই নিয়মিত ধ্যান করার অভ্যাস করুন এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ুন।
যারা প্রকৃতিক নিয়মে ঘুমাতে চান তাদের একটি পরিবেশসম্বত বিছানার খুব দরকার।আমরা অনেকে আছি বিছানা অগছালো অবস্থাই ঘুমিয়ে পরি। অগছালো অবস্থাই বিছানাই ধুলো বালি থাকলে বিরক্ত লাগে এতে আপনার ঘুমের ব্যাগাত ঘটতে পারে। তাছাড়াও উপযুক্ত পরিবেশ করার জন্য ঘুমের সময় ঘরের আলো বন্ধ করবেন হালকা আলোতে ঘুমাতে সমস্যা হয় না। তাই উপযুক্ত পরিবেশ তারাতারি ঘুমাতে সাহায্য করে।
যাদের ঘুমের আগে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা চা বা কফি না খেয়ে ভেষজ চা খাওয়ার অভ্যাস করেন। ভেষজ চা বলতে আপনি ভ্যালেরিয়ান অথবা ক্যামোমিল ভেষজ চা খেতে পারেন। এই চা আপনার ঘুমাতে সাহায্য করবে। বাজারে খোজনিয়ে বাসায় নিয়ে আসুন এইসব ভেষজ চা। কফি বাদ দিয়ে ভেষজ চা খান।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম বর্তমান সময়ে ঘুম কী জিনিস মানুষ জেনো ভুলেই গেছে। কাজ কাম নিয়ে ব্যাস্থ থাকার জন্য মানুষের পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার কারনে হচ্ছে নানা রোগে আক্রান্ত। প্রতিটি মানুষের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন সেখানে বর্তমানে মানুষ ৪ ঘন্টাও ঠিক মতোন ঘুমাতে পারেনা। রাতে ঘুম না হলে আমরা ইনসমনিয়া রোগ বা অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত হতে পারি। এই রোগে আক্রান্ত হলে আপনি নানা সমস্যাই পরতে পারেন।
বয়স ভেদে মানুসের ঘুমের প্রয়োজন পরে যেমন প্রাপ্তবয়স্ক ৭ থেকে ৮ ঘন্টা, শিশুদের ৯ থেকে ১৩ ঘন্টা, নবজাতক বাচ্চাদের ১২ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যদি মানুষ পর্যাপ্ত না ঘুমায় তাহলে তাহলে অনিদ্রা রোগের সৃষ্ট্রি হতে পারে। অনিদ্রা রোগের সৃষ্ট্রি হলে শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি হ্রাস পায়। শক্তি ও দক্ষতা নির্ভর করে মানুষের ঘুমের উপর।
রাতে ঘুম আসে না কেন
রাতে ঘুম আসে না কেন না আসার কারন যদি খুজতে চান তাহলে অনেক রকম সমস্যা আপনার বের হবে। রাতে যাদের ঘুম আসে না তারা অনিদ্রা রোগে ভুগে। এই রোগ থেকে প্রতিকার যদি পেতে চান তাহলে অবশ্যই কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আপনার কিছু কাজের জন্য রাতে ঘুম আসে না।অনেকে ঘুমের জন্য ঔষধ খেয়ে থাকেন এটি করবেন না এটি পরবর্তীতে শরীরে মারাত্তক ক্ষতি করে যা আপনি বুঝতে পারবেন না। রাতে ঘুম না আসার কিছু প্রধান কারন উল্লেখ করি।
- শারীরিক সমস্যা থাকার কারনে
- রাত জেগে কাজ করার জন্য
- মানসিক চাপে থাকার কারনে
- ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন ল্যাপটোপ ব্যবহার করার জন্য
- অ্যালকোহল বা কফি খাওয়ার জন্য
- প্রতিদিন সঠিক সময় না ঘুমানোর জন্য
- দেরিতে ভারী খাবার খাওয়ার জন্য
রাত যেগে কাজ করার জন্য আপনার না ঘুমানোর একটা অভ্যাস তৈরি হয়েছে যার কারনে আপনার ঘুম আসে না। ঘুমানোর সময় আমরা মোবাইল, ল্যাপটোপ ইত্যাদি নিয়ে অনেক সময় পার করি যার কারনে ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। অনেকে অ্যালকোহল বা কফি খেয়ে ঘুমাতে যান এতে আপনার ঘুম আসবে না। প্রতিদিন সঠিক সময়ে না ঘুমানোর জন্য আপনার শরীর সঠিক সময়ে ঘুম নিয়ে আসে না। দেরীতে ভারী খাবার খাওয়ার ফলে হজমশক্তি হতে সময় নেয় এতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।
রাতে ঘুম না আসলে কি কি সমস্যা হয়
প্রতিটি মানুষের পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। ঘুমের মাধ্যমে মানুষের সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয় পরেরদিন কাজ করার জন্য প্রস্তুত হওয়াতে ঘুম একমাত্র মাধ্যম। যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানুষের হয় নানা সমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোগবলাই থেকে বেঁচে থাকতে শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনার ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। রাতে ঘুম না আসলে যেই সমস্যা গুলো হই চলুন দেখেনি।
আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে আপনার উক্ত রক্ত চাপ হতে পারে। চিকিৎসার মতে একটি মানুষের ঘুম না হলে তার শরীরে লিভিং অরগানিজমগুলো ঠিকমতন কাজ করে না। শরীরে হরমোনের ভারসম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ হাইপার টেনশন ইত্যাদি হতে পারে। যার ফলে আপনার শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিবে।
বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত। যাদের ডায়াবেটিস নাই তারা যদি অতিরিক্ত রাত যাগে তাদের জন্য দুঃসংবাদ। আপনার র্দীঘদিনের অভ্যাস রাত যাগার ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। না ঘুমানোর কারনে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যাহত হয় যার ফলে ডায়াবেটিসের অনেক ঝুকি বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত সময় ঘুমান।
আমরা প্রতিনিয়ত শুনি হার্ট এর সমস্যা অসংখ্য মানুষের। ঘুম কম হলে আপনার হার্টের সমস্যা হতে পারে। মানুষ ঘুমালে হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালী বিশ্রাম করে। যদি আপনি কম ঘুমান বা আপনার ঘুম কম হয় তাহলে কর্ডিওভাসকুলার সমস্যা বেড়ে হার্টের সমস্যা করে দিতে পারে। তাই রাত না যেগে পর্যাপ্ত ঘুমান হার্ট ভালো থাকবে।
আপনি যদি পর্যাপ্ত না ঘুমান তাহলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামে একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে। মেজাজ খিটমিটে হয়ে যেতে পারে স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমানোর অভ্যাস করুন আপনার জীবন বেঁচে যাবে।
একটি মানেুষের পর্যাপ্ত ঘুম না হলে তারা নানা রোগে আক্রান্ত হয় কেন হয় জানেন কারন না ঘুমানোর জন্যে। আমাদের শরীরে লিভিং অরগানিজম থাকে যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আপনি যখন ঠিকমতন ঘুমাবেন না তখন এই লিভিং অরগানিজম কাজ করে না যার ফলে আপনি নানা রোগে আক্রান্ত হন। তাই শরীর ঠিক রাখতে ঘুমকে প্রাধান্য দেন বেশি।
প্রতিদিন যদি আপনি না ঘুমান তাহলে আপনার হয়ে যেতে পারে বদ হজমের মতো সমস্যা আগে আমরা জানতাম খাবারের কারনে বদ হজম হতো কিন্তু এখন আপনার না ঘুমানোর কারনে বদ হজম হয়ে যেতে পারে। রাতে খাওয়ার পর আপনি যদি না ঘুমান তাহলে শরীরের পাচন প্রক্রিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগলো ঠিকমতন কাজ করতে পারেনা যার ফলে ঠিকমতন হজম হয় না।
আপনি একদিন রাত যেগে দেখেন আপনার শরীর কেমন করবে মনে হবে আর পারছি না। আপনি যদি পর্যাপ্ত না ঘুমান দেখবেন পরেরদিন সকালে আপনার শরীরের ক্লান্তি চলে আসবে শরীর বিছানাই যেতে চাইবে কাজ করতে পারবেন না শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। অনেকের চোখ লাল হয়ে পড়ে না ঘুমানোর কারনে। তাই রাতে ফোন না ঘেটে বা অন্যান্য কাজ বাদ দিয়ে ঘুমাতে যান।
তাই ঘুমের কোনো বিকল্প নাই। ঘুম আমাদের শরীরের জন্য প্রধান শক্তির উৎস। নিয়মিত ঘুমানোর চেষ্টা করেন ঔষধ খেয়ে ঘুম আনবেন না এটি আপনার জন্য আরো বেশি ক্ষতি। যতটা পারেন নরমালি ঘুমানোর চেষ্টা করেন। প্রতিদিন ঘুমানোর চেষ্টা করেন আপনি পারবেন আস্তে আস্তে ঔষধ ছাড়াই আপনার ঘুম ধরবে। যদি ঘুমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসকের সরনাপন্ন হন।
ঘুম বৃদ্ধির খাবার
ঘুম বৃদ্ধির খাবার অনেকে দ্রুত ঘুমানোর জন্য খাবার হিসেবে অনেক কিছু খেয়ে থাকেন তবে ঘুম বৃদ্ধির জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার রয়েছে যেই খাবার গুলো শরীরের মেলাটোনিন, ট্রিপটোফ্যান, ম্যাগনেসিয়াম এবং আরো পুষ্টি উপাদান যা ঘুমের কাজে সাহায্য করে। আপনি চাইলে প্রতিদিন খাবার গুলো খেতে পারেন এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং প্রতিদিনের ঘুমের কাজে সাহায্য করবে। চলুন নিচে দেখেনি খাবার গুলো।
- কলা, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার দই, দুদ, ওটস, চেরি জুস, মধু, ফ্যাটি মাছ, হার্বাল চা, ডার্ক চকোলেট, ডিম ইত্যাদি পুষ্টিকর খাবার।
রাতে ঘুমানোর আগে যেই জিনিস গুলো দূরে রাখবেন
যদি আপনি ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় জানতে চান তাহলে অবশ্যই সবার আগে আপনার কিছু বদ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমানে মোবাইল ফোন ছাড়া আমাদের চলেই না কথাটা সত্য কিন্তু এটাও সত্য যে এই মোবাইল ফোন আমাদের শরীরের অনেক বড় হুমকিস্বরুপ বিশেষ করে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাতে এই মোবাইল ফোন সমস্যা করে।
আমরা সবাই ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে ঘুমাতে যায় এই কাজটি যে কতটা ক্ষতি করে আপনার আমার শরীরে তা আপনরা চিন্তার বাহিরে। ২০১৬ সালের স্লিপ জার্নালো প্রতিবেদন দেখা যায় যে যারা রাতে মোবাইল ফোন নিয়ে যারা ঘুমাতে যায় তাদের মেলাটোনিন হরমন এর মাত্র কম থাকে যার কারনে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।
আমরা তারপরও মোবাইল ফোন নিয়ে বা ল্যাপটপ নিয়ে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করতে থাকি এই ব্যবহারের আড়ালে আমাদের হয়ে যাচ্ছে বড় ক্ষতি চলুন জেনে নেই কি কি ক্ষতি হয় রাতে ঘুমানোর সময় ব্যবহার করলে। আমরা বর্তমানে যেই হন্ডস্টে বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি তা থেকে এক ধরনের রেডিয়েশন বের হয় যা
আমাদের মেলাটোনিন হরমন উংপাদন বা তৈরি হতে ব্যাহত হয় এতে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। ফোন থেকে আশা নিল আলো যাকে (blue light) বলি এই আলো আমাদের চোখের দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক ক্ষতি করে নির্গত নিল আলো আমাদের অনিদ্রা ডেকে আনে। তাছাড়াও এই আলো আমাদের মাথাব্যাথা ডেকে আনতে পারে যার কারনে আপনার মাথাব্যাথা হলে ঘুম হারাম করে দিবে।
ল্যাপটপ বা কম্পিউটার একই কাজ করে তবে মোবাইল ফোন যেহেতু আমাদের কাছে থাকে সবসময় তাই এটার অভ্যাস পরিবর্তন করুন। রেডিয়েশন ও নিল আলো আমাদের শরীরের জন্য প্রচন্ড ক্ষতি। যতটা পারবেন ঘুমানোর আগে স্মার্টফোন বিছানাই নিয়ে আসবেন না কাজ শেষ করে দূরে রেখে তারপর বিছানাই ঘুমাতে যান।
শেষ কথা
অনেক যায়গায় অনেক কথা শেয়ার করেছে মানুষ আপনি নিজে পর্যবেক্ষন করে দেখতে পারবেন সমস্ত পজেটিভ ইনফরমেশন আমাদের সাইটে তুলে ধরা হয়েছে। ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় জেনে নিয়েছেন এইবার আমি কিছু কথা বলি আপনারাতো অনেকে ঘুমানোর জন্য ঘুমের ঔষধ নিয়ে থাকেন কিন্তু এই ঔষধ আপনার শরীরে একসময় ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে। যতো পারেন আসতে আসতে ঘুমের ঔষধ খাওয়া ছেড়ে দিন প্রকৃতিক নিয়মে ঘুমের অভ্যাস করুন পারবেন চেষ্টা করেই দেখুন কয়েকদিন।
যদি চট জলদি ঘুমাতে যান তাহলে বলব ঔষধ বাদ দিয়ে নিয়ম গুলো ফলো করতে থাকুন আপনার ঘুমের অভ্যাস হয়ে যাবে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি যদি এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে চান তাহলে ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন। কারন আমরা ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url