ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয়

 ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয় কি কারনেফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে অনেকেই ভালো ভাবে জানেন না। বর্তমান সময়ে দেখা যায় অনেকের অনেক ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয়ে যায়। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হওয়ার পর করণীয় কি তা নিয়ে বলা হবে।

ফেসবুক- হ্যাক- হয়- কি -কারনে

আমরা অনেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে, বিভিন্ন হ্যাকাররা এই গ্রুপ গুলো কে হ্যাক করে নেন। তখন আমরা অনেকেই বুঝে উঠতে পারি না যে আসলে আমাদের কি করতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে বলা হবে।

পেজ সূচিপত্র : ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয়

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয়

বর্তমানে অনেকেই ফেসবুক গ্রুপ খুলে থাকেন। কারণে কিংবা অকারণে সবাই ফেসবুকে গ্রুপ খুলে বসেন। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো এই ফেসবুক গ্রুপ। ব্যবসা, সম্প্রদায় বা ব্যাক্তিগত যোগাযোগের জন্য ফেসবুক গ্রুপের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই গ্রুপের জনপ্রিয়তা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনি এখানে হ্যাকিং হওয়ার ঝুকিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কেন- হ্যাক- হয়- ফেসবুক- একাউন্ট
অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন যে, ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয়ে গেলে কি করবেন। এটি কিভাবে পুনরুদ্ধার করবেন। তা ছাড়া হ্যাক হওয়া থেকে বাচার জন্য আপনি কি কি পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করবেন।

কোনো কারনে যদি আপনার ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয়ে যায়, তবে আপনি নিম্নে উল্লেখিত কাজ গুলো করতে পারেন।

১. নিজ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষা
আপনি যখনই বুঝতে পারবেন যে আপনার ফেসবুক গ্রুপটি হ্যাক হয়ে গিয়েছে তখনি আপনার নিজ ব্যক্তিগত আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ফেলুন। আর আইডি তে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন।

২. ফেসবুক হেল্প সেন্টার থেকে সাহায্য নেওয়া
আপনার ফেসবুক গ্রুপটি হ্যাক হলে আপনি ফেসবুকের হেল্প সেন্টার থেকে এই বিষয়ে সাহায্য নিতে পারেন। তাদের কে আপনার সমস্যার কথাটি জানাবেন, অবশ্যই তারা আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবে। তাদের হেল্প সেন্টারে গিয়ে হ্যাকিং নিয়ে রিপোর্ট করবেন এবং সহায়তা চেয়ে আবেদন করবেন।

৩. গ্রুপের মেম্বারদের জানিয়ে দিন
আপনার গ্রুপটি হ্যাক হয়ে গেলে আপনার গ্রুপ মেম্বারদের পোস্ট করার মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করে তাদের কে হ্যাক হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিবেন। ফলে তারা যদি কোনো লিংক পায়, তাহলে যেন তারা ক্লিক না করে।

ফেসবুক গ্রুপ কি

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয় কি তা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি। ফেসবুক গ্রুপের আসল উদ্দেশ্য হলো সকল লোকদের আলোচনায় জড়ো করতে, বিষয় বস্তু গুলো ভাগ করে নেওয়া ও অনুরূপ আগ্রহ বা লক্ষ্য গুলোর সাথে অন্যদের সংযোগ স্থাপণ করা। একটা ফেসবুক গ্রুপ বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হতে পারে৷ উদ্দেশ্য গুলো নিম্ন রূপ দেওয়া হলো।

১. কমিউনিটি বিল্ড আপ
একটি ফেসবুক গ্রুপে বিভিন্ন ধরণের লোক জন এসে জড়ো হয়ে থাকে। তাদের বিভিন্ন যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। এখানে বিভিন্ন ব্যক্তিরা তাদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকে। এর ফলে সবার মাঝে একটা কমিউনিটি বিল্ড আপ হয়।

২. জ্ঞানের আদান প্রদান
গ্রুপ বিভিন্ন বিষয়ের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে। ফেসবুকে অনেক শিক্ষামূলক গ্রুপ রয়েছে, যে খানে জ্ঞানের আদান প্রদানের কাজ চলে। এখানে বিভিন্ন সংবাদ, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। এই গ্রুপের সদস্যরা এখানে কথোপকথন শুরু করতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার বা নিবন্ধন করতে পারে। তাছাড়া এখানে ভিডিও ও অন্যান্য সামগ্রী গুলো পোস্ট করতে পারে।

৩. কর্পোরেট ও ব্যবসায়িক লক্ষ্য
বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থা গুলো তাদের নিজেদের শ্রোতাদের সাথে যুক্ত হতে, গ্রাহক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে, কিংবা পণ্য পরিষেবায় বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে থাকে।

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয় কি কারনে

বেশ কয়েকটি কারনে ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয়ে থাকে। ফেসবুক হলো সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সাইট। সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ এই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। এতে করে বিশ্বের বিভিন্ন মানুষ গুলোর মধ্যে বাড়ছে যোগাযোগের দক্ষতাও তারা একে অপরের সাথে বিভিন্ন ভাবে কমিউনিটি গড়ে তুলছে। আর এর জন্যই ফেসবুকে বেশী বেশী গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। তার সাথে বাড়ছে ফেসবুক হ্যাক হওয়ার প্রবণতাও। যে কারণ গুলোর জন্য ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হয়ে থাকে তা নিম্ন রূপে উল্লেখ করা হলো।

১. দুর্বল পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
খুব সহজেই ধরে ফেলা যায় এমন পাসওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার কারনে আপনার ফেসবুক গ্রুপ খুব সহজেই হ্যাক হয়ে যেতে পারে। মূলত বেশীর ভাগ গ্রুপ এই দূর্বল পাসওয়ার্ড জনিত কারনেই হ্যাক হয়ে থাকে।

২. ফিশিং আক্রমণ
ফেসবুক গ্রুপ সহ আরো অনেক হ্যাক হওয়ার অন্যতম কারন হলো সামনে যে কোনো লিংক দেখে কিছু না বুঝেই ক্লিক করে দেওয়া। এই সকল অনিরাপদ লিংকে ক্লিক করার ফলে বা সন্দেহ ভাজন ফাইল ডাউনলোড করার মাধ্যমে ফিশিং এর শিকার হতে পারেন। তাই এই সব থেকে বিরত থাকা দরকার।

৩. কপিরাইট ভায়োলেশন
আপনি যদি আপনার গ্রুপে অন্যের কোনো ভিডিও চালিয়ে দেন অর্থাৎ কপি মারেন, তাহলে ফেসবুক কতৃক পক্ষ আপনার গ্রুপটি বন্ধ করে দেওয়ার অধিকার রাখে।

৪. অ্যাডমিনদের মাঝে ঝগড়া
একটি গ্রুপে একাধিক অ্যাডমিন থাকতে পারে। তাই যদি অ্যাডমিনদের মাঝে কোনো রকম ভুল বুঝা বুঝি হয়ে থাকে তাহলে কোনো অ্যাডমিন হয়তো রাগের বশে গ্রুপের ক্ষতি করে দিতে পারে।

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে কিভাবে ফিরিয়ে আনবো

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে কিভাবে ফিরিয়ে আনবো এমন বিষয় নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। একটা গ্রুপ হয়তো অনেক কষ্ট করে এর বৃহৎ পরিসর তৈরি করেছেন। কিন্তু হঠাৎ করে যদি গ্রুপটি হ্যাক হয়ে যায়, তাহলে সত্যিই দুংখের বিষয়। বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াদৌড়ি চালান গ্রুপটি ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু হ্যাক হয়ে যাওয়া এই গ্রুপটি হয়তো কখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় বা কখনো কোনো গ্রুপ আর ফিরিয়ে আনা যায় না। একটি গ্রুপ ফিরিয়ে আনার জন্য নিম্ন উল্লেখিত পদক্ষেপ গুলো অবলম্বন করতে পারেন।

১. ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ
আপনার গ্রুপটি হ্যাক হয়ে গেলে আপনি ফেসবুকের সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন। তাদের কে আপনার সমস্যার কথাটি বলুন। আর তারা যে সকল তথ্য গুলো চায় তা সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে দিয়ে দিন। আপনার পরিচয় নিশ্চিন্ত হলে এবং আপনার দেওয়া তথ্য গুলো সঠিক হলে তারা আপনার গ্রুপটি পুনরুদ্ধার করে দিতে পারে।

২. গ্রুপের অন্যন্য অ্যাডমিনের সহায়তা
সাধারণত ফেসবুক গ্রুপ গুলোতো একাধিক অ্যাডমিন থাকতে পারে। তাহলে অন্য অ্যাডমিনের সহায়তা নিয়ে আপনার গ্রুপটি পুনরুদ্ধার করে নিতে পারেন।

ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হওয়া রোধে সতর্কতা

ফেসবুক গ্রুপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আজকের ডিজিটাল যুগে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার নিজ গ্রুপ হ্যাক হওয়ার পর পরবর্তী যে পদক্ষেপ গুলো রয়েছে তা সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। আর গ্রুপের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে জ্ঞান রাখাটাও অনেক জরুরী। কারন এই নিয়ম গুলো মানলে আপনার গ্রুপ অনেকাংশেই হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই নিজ গ্রুপ কে সুরক্ষিত রাখতে এই পদ্ধতি গুলো জানা আপনার জন্য অত্যাবশ্যক।

ফেসবুক গ্রুপ কে হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে আপনি নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো অবলম্বন করা উচিত।

১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
নিজ একাউন্টের সুরক্ষার্থে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। দূর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন, কেননা এটি আপনার একাউন্ট হ্যাক হওয়াকে আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে তুলে। আপনার একাউন্টের সুরক্ষার্থে নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে থাকুন।

২. টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন
আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন। তাই নিজ গ্রুপের নিরাপত্তার জন্য আপনি আপনার একাউন্টে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করে রাখতে পারেন।

৩. অ্যাডমিন সংখ্যা সীমিত রাখুন
ফেসবুক গ্রুপে এডমিন রাখা যায় বেশী সংখ্যক। তাই চেষ্টা করবেন নিজ গ্রুপে এডমিন সংখ্যা সীমিত রাখার জন্য। আর যে সকল লোকদের আপনি বিশ্বাস করতে পারেন তাদের কে আপনি অ্যাডমিন হিসেবে দিতে পারেন।

৪. সন্দেহ জনক লিংক গুলো এড়িয়ে চলুন
আপনার সামনে যদি কোনো সন্দেহ জনক লিংক আসে তাহলে সে গুলো কে এড়িয়ে চলুন। কেননা এই সকল লিংকে ক্লিক করার পড় কোনো অনিরাপদ ফাইল ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে। তাই এই সব থেকে বিরত থাকুন।

৫. মেম্বারদের নিয়মিত মনিটর করুন
আপনার গ্রুপের মেম্বারদের উপর আপনার মনিটরিং অব্যহত রাখুন। আর যদি কোনো মেম্বার কে দেখুন সন্দেহ ভাজন আচরণ করতে তাহলে তাকে সরিয়ে দিন।

কারা ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক করে থাকে

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম গুলো এখন একে একে হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। যারা বড় বড় সেলিব্রিটি রয়েছে তারা এই হ্যাকিংয়ের বিড়ম্বনায় বেশী পড়ে। কিন্তু আমাদের দেশে কারা এই হ্যাকিংয়ের কাজটি করে থাকে? বিবিসি কতৃক এক অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, হ্যাকিং এর সবচেয়ে বেশী দাবী দেখা গিয়েছে ব্ল্যাক ৪২০ স্প্যামিং টিমের ফেসবুক পাতায়। সেখানে বাংলাদেশের অসংখ্য ফেসবুক আইডি,  ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ ডিলিট করা বা অকার্যকর করার অসংখ্য ঘোষণা রয়েছে।

মূলত অনেক হ্যাকররাই যাদের আইডি হ্যাক করে থাকে তারা হয়তো বেশী লোভী বা অহংকারী হয়ে থাকে। নয়তো তাদের এমন কিছু কাজ করে থাকে যার জন্য দেশবাসী বিরক্ত হয়। বিবিসি ব্ল্যাক ৪২০ স্প্যামিং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে যে স্কিনশর্ট গুলো দেখিয়েছে সেখানে ১৮ প্লাস আইডি ডিজেবল দেখানো হয়েছে। এমনিতেও এই আইডি গুলো যুব সমাজ কে নষ্ট করছে। আমাদের দেশে যে সকল হ্যাকার রয়েছে তাদের বেশির ভাগই এই ধরণের আইডি গুলোই নষ্ট করে থাকে, যে গুলো যুব সমাজ কে নষ্ট করে। কিংবা জনগণ কে হয়রানি করে থাকে।

আবার এমন কিছু ব্ল্যাক হ্যাকার থাকে যারা অন্যায় ভাবে অনেক আইডি নষ্ট করে থাকে, সম্পদ নষ্ট করে থাকে। এরা অনেকের আইডি নিয়ে আবার অর্থও চেয়ে থাকে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। এরা দেশের সম্পদ নষ্ট করে থাকে। তবে বাকিরা যারা আছে অর্থাৎ হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার তারা আমাদের ভালো উপকার করেই থাকে। তারা এমন সব আইডি গুলো কে ডিজএবেল করে দেয়, যে গুলো সমাজ কে নষ্ট করে দেয়।

কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করছে

হ্যাকররা তাদের প্রযুক্তির অপপ্রয়োগ, তাদের জ্ঞানের অপব্যবহার করার মাধ্যমে হ্যাক করে থাকে বিভিন্ন একাউন্ট। তারা ডিজিটাল ফুট প্রিন্টের মনোবৈজ্ঞানিক যাচাই ছাড়াই অন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে হ্যাকাররা আপনার আইডি হ্যাক করে নিতে পারে। যেমন হলো বটনেট ব্যবহার করে, ব্রাউজার হ্যাংকিং ব্যবহার করে, রেনসমওয়ার ব্যবহার করে কিংবা ভাইরাস প্রয়োগ করে ইত্যাদি। তাই হ্যাকার থেকে আপনার একাউন্ট নিরাপদে রাখতে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন।

কেন ফেসবুক হ্যাকিং হয়ে থাকে

হ্যাকাররা খুব সহজেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে নিতে পারে, আইডিতে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে।
কেন- হ্যাক- হয়- ফেসবুক- একাউন্ট
এই দূর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে আপনার আইডি খুব সহজেই হ্যাক করে নিবে হ্যাকাররা। তাছাড়া আইডি তে যদি টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু না করা। অজানা কোনো লিংকে ক্লিক করো প্রবেশ করলে। এই সকল কারণ গুলোর জন্যই একাউন্ট হ্যাক হয়।

অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে করণীয়

ফেসবুকে নিরাপত্তা বাড়াতে ও হ্যাকিং ঠেকাতে বেশ কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন ফেসবুক। আগে এই গুলো ঐচ্ছিক হলেও এখন এ গুলো বাধ্যতামূলক ব্যবহার করতে হয়। এগুলোর মধ্যে হলো সব একাউন্টেই গুগল অথেনটিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করা। টেক্সট মেসেজে যে কোড যায় সেটি ব্যবহার করা। ফেসবুকে আইডি যদি নতুন কোনো ডিভাইসে লগ ইন করা হয় তাহলে আবার কোড ব্যবহার করা।

লেখকের শেষ মন্তব্য

আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করণীয় সম্পর্কে। আশা করি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 32353

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url