ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করার উপায়ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে অনেকেই ভালো ভাবে জানেন না। ছাত্র জীবনে টাকার অনেক প্রয়োজন পড়ে। ছাত্র জীবনে পড়া লেখার পাশা-পাশি টাকা আয় করার প্রয়োজন পড়ে। কি ভাবে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করবেন তাই নিয়ে আলোচনা হবে।
ছাত্র জীবনে বই খাতা সহ নানা রকম জিনিস ক্রয় করার জন্য প্রয়োজন পড়ে অনেক টাকার। এই টাকা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের রয়েছে তাদের কাছে অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই পড়া লেখার পাশাপাশি যদি একটা ইনকাম সোর্স তৈরি করা যায় তাহলে মন্দ হয় না। তাই কিভাবে একজন ছাত্র তার জীবনে ইনকাম করতে পারবে তাই আলোচনা করা হবে।
পেজ সূচিপত্র : ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
- ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
- ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা
- ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং
- আর্টিকেল লিখে আয়
- ঘরে বসে আয় করার উপায়
- ফ্রী টাকা ইনকাম করার উপায়
- বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে টাকা আয় করার উপায়
- অ্যাপস থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি
- কিভাবে টাকা ছাড়া ইনকাম করা যায়
- লেখকের শেষ মন্তব্য
ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়
ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। ছাত্র জীবনে
অনেককেই দেখা যায় তাদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে যায় অর্থ নৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ার কারনে। অর্থ নৈতিক প্রভাব খুবই বাজে ভাবে সাধারণত মধ্য বিত্ত পরিবার
গুলোতে। তবুও তারা এগিয়ে যায় অনেক দূরে। তাদের ইনকাম গুলো তারা জেনারেট করে
থাকে বিভিন্ন ভাবে। কখনো দেখা যায় টিউশনি করে কখনো বা দেখা যায় অনলাইনে ইনকাম
করে।
আবার কেউ কোনো এক জায়গায় কাজ নিয়ে থাকে যা কে বলা হয় পার্ট টাইম জব। এই ভাবেই
তারা তাদের লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে। একজন ছাত্র কি ভাবে তার পড়া শোনার
পাশাপাশি ইনকাম জেনারেট করতে পারবে তা বলা হবে। একজন ছাত্র তার ছাত্র জীবনে
কিভাবে টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারে তার তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো।
১. টিউশনি করানো
এক জন ছাত্র এর পক্ষে টাকা ইনকাম করার সব চেয়ে সহজ কাজ হলো টিউশনি করানো। এখন
শহরের দিকে ভালো একটা টিউশনি করাতে পারলে মোটা মুটি ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা
যায়। প্রায় সকল সংখ্যক ছাত্রই টাকা আয় করে থাকে টিউশনি করানোর মাধ্যমে। টিউশনি
হলো ছাত্র জীবনে ইনকাম করার সর্বোত্তম উপায়। আপনি যেই ক্লাসে পড়েন তার থেকে নিচের
ক্লাসের ছাত্রদের আপনি টিউশনি করাতে পারেন। অর্থাৎ আপনি আপনার জুনিয়রদের টিউশনি
করিয়ে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এতে এক কাজে আপনার দুই কাজ
সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এক দিকে আপনার পড়া শোনা চালানোর জন্য ইনকাম করা সম্ভব হয়ে
উঠবে। আবার অন্যদিকে আপনার জুনিয়রদের পড়া রিভিশন দেওয়া হয়ে যাবে।
২. অনলাইনে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়
এক জন স্টুডেন্ট চাইলে অনলাইনেও তার জন্য আয় করার একটি ব্যবস্থা করতে পারে। এতে
পড়া শোনার পাশা পাশি ছাত্র জীবনেও বেশ ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা যায়। এখন অনেক
শিক্ষার্থীই তাদের নিজেদের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি করতে পারে ফ্রিল্যান্সিং খাতে।
অনলাইনে ইনকাম করার ফলে আমাদের অন্য কারো কাছে হাত পাততে হয় না। এর ফলে আমাদের
ছাত্র জীবনেই অনলাইন ইনকাম করার একটা সোর্স তৈরি হয় এবং অনলাইনে ইনকাম করার জন্য
দক্ষতাও তৈরি হয়।
৩. অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পড়ানোর মাধ্যমে ইনকাম
বর্তমানে আমরা অনেক এডটেক প্ল্যাটফর্ম দেখতে পাই। যারা নিজেদের পড়া শোনার পাশা
পাশি অনলাইনে দেশের হাজার হাজর শিক্ষার্থী কে পড়িয়ে টাকা ইনকাম করছে। এই অনলাইন
প্ল্যাটফর্মে যারা ইনকাম করে থাকে তাদের অনেক বেশী পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব
হয়। কারন এই ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ খুবই কম হয়। ছোট একটা জায়গাতেই দাঁড়িয়ে
ক্যামেরা নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কে পড়া শোনা করানো যায়।
৪. ব্লগিং করে ইনকাম করুন
ব্লগিং করে এখন আপনি অনেক বেশী টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য বিভিন্ন অনলাইন
প্ল্যাটফর্মে কোর্স করানো হয়ে থাকে। এই কোর্স গুলো দেখে আপনি অনেক বেশী পরিমাণ
টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ব্লগিং করে আপনি পড়া শোনার পাশা পাশি বেশ পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করতে পারবেন।
৫. ইউটিউব ভিডিও আপলোড করে ইনকাম
আমাদের কাছে একম কাউকে পাওয়া যাবে না যে ইউটিউব চেনে না। জেন জেড এর সকলেই এই
ইউটিউবের সাথে বেশ ভালো ভাবেই পরিচিত। যারা ভালো ভিডিও বানাতে পারেন, ক্যামের
সামনে ম্মার্ট ভাবে যারা কথা বলতে পারনে তারা চাইলে ইউটিউবে ইনকাম সোর্স তৈরি
করতে পারনে। কেননা বর্তমানে ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে বেশী পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করতে পারে।
৬. গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম করুন
যারা কম্পিউটারে বেশ ভালো এক্সপার্ট আছেন এবং গ্রফিক্সের ডিজাইনের কাজ গুলোও খুব
সুন্দর ভাবে করতে পারেন তারা চাইলে গ্রফিক্স ডিজাইনের কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
কেননা এখন অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ প্রচুর পাওয়া যায়, আর এর বেশি টাকাও
পাওয়া যায়।
ছাত্র অবস্থায় ব্যবসা
যারা ছাত্র অবস্থায় রয়েছেন তারা চাইলে নিজ উদ্যোগে কিছু ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
এমন অনেক নজির আছে যারা পড়া শোনার পাশা পাশি ছোট খাটো ব্যবসা বা উদ্যোক্তার মতো
করে কাজ শুরু করেছেন এবং পরবর্তীতে তারা তাদের ব্যবসা অনেক বড় করে সাজাতে
পেরেছেন। মাইমুমা, তন্নী, তাকসিনা এরা হলো তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী যারা
নিজেদের স্বীয় পরিশ্রম দ্বারা তাদের সফলতার দিকে পৌছে যাচ্ছে। ছাত্র অবস্থায় আপনি
এমন কিছু ব্যবসা করে সফল হতে পারবেন তার তালিকা দেওয়া হলো।
১. অনলাইনে ব্যক্তিগত ব্যান্ড তৈরি
আপনার কাজ গুলো সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইনে ব্যক্তিগত ভাবে একটা ব্যান্ড
তৈরি করে নিতে পারেন। এখান থেকে পরে আপনার অভিজ্ঞতা, দক্ষতা গুলো ব্যবহার করে
আপনি অ্যাফলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসর করা পোস্ট ও এমন কি আপনার নিজস্ব যে সকল পণ্য
গুলো রয়েছে যে গুলোও দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
২. বই ব্যবসা করতে পারেন
আপনি চাইলে পুরাতন বই কিনে ৫ থেকে ১০% লাভ রেখে বিক্রি করে দিতে পারেন। এখন কার
বাজারে বই গুলোর দাম হলো আকাশচুম্বী। তাই অসহায় যে সকল শিক্ষার্থী রয়েছে তারা
আপনার থেকে বই ক্রয় করতে উৎসাহী হবে।
৩. ফটোগ্রাফি
বর্তমান সময়ে ফটোগ্রাফির চাহিদা অনেক। আপনি চাইলে এই কাজটি করতে পারেন। তবে
অবশ্যই এই ক্ষেত্রে আপনাকে ক্যামেরা ও ফটো তোলা বিষয়ে অনেক এক্সপার্ট থাকতে হবে।
৪. হ্যান্ড পেইন্ট তৈরি করুন
আপনি চাইলে শাড়ি বা পাঞ্জাবিতে হ্যান্ড পেইন্ট করে তা বিক্রি করতে পারেন।
বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেশী রয়েছে আমাদের মাঝে। আপনার যদি হ্যান্ড পেইন্টে ভালো
দক্ষতা থাকে তাহলে এই কাজটি আপনি নিতে পারেন।
ছাত্র অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং
ছাত্র জীবনে যারা মধ্য বিত্ত ফ্যামিলির লোক রয়েছে তাদের পড়া শোনা চালানো অনেক
কষ্ট হয়ে যায়। তাই তাদের কে বিকল্প একটি পথ খুঁজে নিতে হয় ইনকাম করার জন্য। এই
ইনকামের জন্য অনেকেই অনেক কাজ করে থাকে। যেমন টিউশনি, পার্ট টাইম জবের মতো আরো
নানা রকম কাজ। তবে ইদানীং অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে বেশী করে আগ্রহী হচ্ছে।
কারন এখানে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারলে অল্প সময়ে অনেক বেশী পরিমাণ অর্থ
উপার্জন করতে পারে। তাই মূলত এটি সবার আগ্রহের দিক হয়ে উঠে।
বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থী শুধু লেখা পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, তারা এখন
বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের জীবন কে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছে। ছাত্র
জীবনে লেখা পড়ার পাশা পাশি আরো নানা ক্ষেত্রে অর্থের প্রয়োজন পড়ে। বর্তমান সময়ে
উপার্জন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি
বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মুক্ত ভাবে কাজ করা কে বোঝায়। যারা এই ধরণের কাজ
করে থাকেন তাদের বলা হয়ে থাকে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সার৷ এই ধরণের কাজে
নির্দিষ্ট কোনো বেতন ভাতা থাকে না তবে স্বাধীনতা আছে। এখান থেকে ইচ্ছা মতো ইনকাম
করা যায়। সাধারণ ভাবে যে সকল চাকরি করে থাকে তাদের বেতনের থেকেও বেশী পরিমাণ
ইনকাম করা যায়।
আর্টিকেল লিখে আয়
আর্টিকেল লিখে বর্তমানে অনেক পরিমাণ টাকা আয় করা সম্ভব হয়। এমন অনেক অনলাইন
কোম্পানি আছে যারা অনলাইনে আর্টিকেল লিখার কাজ দিয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা যারা আছেন
তারা চাইলে নিজেদের জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন অনলাইনে আর্টিকেল লিখার
মাধ্যমে। মিডিয়াম, হাবপেইজেস, স্টিমিট সহ অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে আপনি
আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি অর্ডিনারী আইটি
ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে আর্টিকেল রাইটিং এর কাজ করতে পারেন। এছাড়াও আর্টিকেল লিখে
আয়ের বেশ কিছু উপায় আছে। কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকর পদ্ধতি এখানে উল্লেখ করা
হলো:
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম:
- Upwork: ফ্রিল্যান্স লেখকদের জন্য বেশ জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন ধরনের লেখা কাজের জন্য বিড করতে পারেন।
- Fiverr: এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার লেখার সেবা প্রদান করতে পারেন এবং ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে অর্ডার পেতে পারেন।
- PeoplePerHour: এখানে আপনি প্রতি ঘণ্টা ভিত্তিতে আপনার লেখার সেবা প্রদান করতে পারেন।
- নিজস্ব ব্লগ: একটি নিজস্ব ব্লগ সাইট খুলে সেখানে নিয়মিতভাবে মানসম্মত আর্টিকেল পোস্ট করতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন।
- গেস্ট ব্লগিং: অন্যান্য ব্লগে গেস্ট পোস্ট লিখে আয় করতে পারেন। কিছু ব্লগ আপনাকে গেস্ট পোস্টের জন্য পেমেন্ট করে।
কনটেন্ট মিলস:
- Textbroker: এখানে আপনি ক্লায়েন্টদের জন্য আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন।
- iWriter: এই প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট লেখকদের বিভিন্ন ধরনের লেখা কাজ করে আয় করতে পারেন।
পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম:
- Medium: এখানে আপনার লেখা পোস্ট করতে পারেন এবং "Medium Partner Program" এ অংশগ্রহণ করে আপনার লেখার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
- Substack: একটি নিউজলেটার ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকে সরাসরি আয় করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া:
- LinkedIn: এখানে পেশাগত আর্টিকেল পোস্ট করতে পারেন যা আপনাকে ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ দিতে পারে।
- Facebook: বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে আপনার লেখা শেয়ার করে ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
ঘরে বসে আয় করার উপায়
ঘরে বসে আয় করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো অনলাইন। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক
অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়ে থাকে। তা ছাড়া ঘরে এখন হস্ত শিল্পের কাজ করেও ভালো
পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হচ্ছে। তাই কেউ যদি চায় তবে নিজ উদ্যোগে এক জন
উদ্যোক্তা হতে পারেন। তবে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য সব চেয়ে জনপ্রিয় হলো
ফ্রিল্যান্সিং। এখান নিজ ইচ্ছা মতো অনেক পরিমাণ টাকা উপার্জন করা সম্ভব
হয়। নিচে কিছু জনপ্রিয় এবং কার্যকর উপায় উল্লেখ করা হলো:
- কনটেন্ট রাইটিং: ব্লগ, আর্টিকেল, ওয়েবসাইট কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারেন।
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ওয়েবসাইট তৈরি ও মেইনটেন্যান্সের মাধ্যমে আয় করা যায়।
- ইউটিউব: ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করে আয় করতে পারেন।
- ড্রপশিপিং: পণ্য কিনে বিক্রি না করেই সরাসরি সরবরাহকারীর থেকে ক্রেতার কাছে প্রেরণ।
- হাতের কাজ: হস্তশিল্প বা কাস্টম পণ্য তৈরি করে Etsy বা Facebook Marketplace এ বিক্রি করতে পারেন।
- ব্লগিং: নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে গুগল অ্যাডসেন্স বা স্পন্সরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফলোয়ার বৃদ্ধি করে পণ্য প্রচার করে আয় করতে পারেন।
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট: ব্যবসা বা পেশাদারদের ভার্চুয়াল সহায়তা প্রদান করে আয় করতে পারেন।
- ডিজিটাল মার্কেটিং: এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এবং ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
ফ্রী টাকা ইনকাম করার উপায়
ফ্রী টাকা ইনকাম করার সরাসরি উপায় নেই কারণ প্রত্যেক ধরনের ইনকামের পেছনে কোনো
না কোনো কাজ বা বিনিয়োগ থাকে। তবে কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেখানে আপনি কিছু
বিনিয়োগ ছাড়ায় আয় করতে পারেন:
- অ্যাপ রেফারেল: কিছু অ্যাপ যেমন PayPal, Cash App ইত্যাদির রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।
- Sweepstakes: বিভিন্ন অনলাইন গিভওয়ে এবং স্যুইপস্টেক এ অংশগ্রহণ করে আপনি পুরষ্কার জিততে পারেন।
- Coursera: এখানে বিভিন্ন ফ্রি কোর্স করে আপনি নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারেন যা ভবিষ্যতে ইনকামের জন্য সাহায্য করবে।
- Udemy: ফ্রি কোর্স করে আপনি পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে পারেন।
- Amazon Mechanical Turk: ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
তবে মনে রাখতে হবে, কোনো ইনকামই একেবারে ফ্রি হয় না, সেখানে সময় এবং পরিশ্রম
বিনিয়োগ করতে হয়।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থী হিসেবে টাকা আয় করার উপায়
এক জন ছাত্র হিসেবে নিজের পড়া লেখার পাশা পাশি নিজের খরচ চালানোর জন্যও ইনকাম করা
যেতে পারে। এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাইলে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করে
নিতে পারে দক্ষতা অনুযায়ী। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি এই সুবিধা কে আরো এক ধাপ এগিয়ে
নিয়ে গিয়েছে। তাই এক জন ছাত্র এর পক্ষে সব চেয়ে সহজ হলো অনলাইনে নিজের দক্ষতা
অনুয়ায়ী কর্মক্ষেত্র তৈরি করা। অনলাইনে লেখা লেখি করার মাধ্যমে অনেকে প্রচুর
পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকে। বাংলা আর্টিকেল লেখার সুবিধাও রয়েছে। তাই কেউ
চাইলে নিজের ইনকামের পথ হিসেবে লেখালেখির কাজ কে বেছে নিতে পারে।
অ্যাপস থেকে ইনকাম করার পদ্ধতি
আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরণের অ্যাপস পাওয়া যেখানে বলা হয়ে থাকে এত টাকা ডিপোজিট
করলে তত টাকা পাওয়া যাবে। এই সব অ্যাপস প্রায় ৯৯.৯৯ শতাংশই ভুয়া হয়ে থাকে।
তাই আপনারা যদি এই জাতীয় কোনো অ্যাপসের ফাঁদে পারা দেন তাহলে অবশ্যই সাবধান
থাকবেন। তা ছাড়া কিছু টাকা ডিপোজিট করে আপনাকে কেউ তার ডবল, চারগুন টাকা
দিবে না। এই সব অ্যাপস আপনার নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটায়। তাই যথা সম্ভব এই সকল
অ্যাপস থেকে দূরে থাকাই ভালো।
কিভাবে টাকা ছাড়া ইনকাম করা যায়
কিভাবে টাকা ছাড়া ইনকাম করা যায় এমন প্রশ্ন আপনার মনে থাকলে জেনে রাখুন এমন অনেক
পথ রয়েছে যা অবলম্বন করে আপনি আয় রোজগার করতে পারবেন। তার মধ্যে, আর্টিকেল
রাইটিং, অনলাইন টিচিং, ভয়েস এসিস্টেন্ট, ইউটিউব ভিডিও তৈরি ইত্যাদি আরও মাধ্যম
আছে যেখান থেকে আপনি টাকা ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন।
লেখকের শেষ মন্তব্য
আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে। আশা করি এই
বিষয় নিয়ে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এই বিষয়ে আপনার সম্পূর্ণ মতামত
জানিয়ে যাবেন। পাশাপাশি এটি আপনার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ। 32353
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url