এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন
ভূমিকএইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন ভাইরাসের নাম শুনেই মনে পড়ে যায় বিগত বছররের করোনা ভাইরাসের মতন আলোচিত মহামারী ভাইরাসের কথা। এখনো ভয়ের কিছুেই নেই তবে নতুন এই ভাইরাসের জন্য আমাদের আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সেই বিষয়ে আজকে আপনাদের কিছু পরামর্শ দিব।
যদিও এই ভাইরাস এখন পর্যন্ত চিনে মহামারীর মতন কিছুই প্রকাশ হয়নি তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না করোনা ভাইরাসের সময় মহামারী তৈরি হতে বেশি সময় নেয় নি তাই এখন থেকে সতর্ক থাকতে নিজেকে সেফটি রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন ও উপসর্গের বিষয় গুলো আগে থেকে জেনে রাখুন।
পেজ সূচিপত্রঃ এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন
নিচের যেকোন অংশ পড়তে চাইলে ক্লিক করুন
- এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন
- প্রতিটি ভাইরাসের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক
- এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছ থেকে কত ফুট দূরে থাকবেন?
- অপরিষ্কার হাত
- হাঁচি বা কাশির সময় করনীয়
- কোন বয়সের মানুষদের (HMPV) ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি?
- এইচএমপিভি ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ গুলো কি কি পড়তে ক্লিক করুন
- গুরুতর উপসর্গ গুলো কি কি পড়ুন
- পাঠকের শেষ কথা
এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন
এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন তার আগে আপনার যেনে নেওয়া
দরকার এই ভাইরাস সম্পর্কে। এইচএমপিভি যার পুরো নাম হলো (হিউম্যান
মেটাপনিউমোভাইরাস) এটি ফ্লু ও শ্বাসযন্ত্রের মতন ভাইরাস। এই ভাইরাস প্রথম ২০০১
সালে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বর্তমানে শীতের প্রকটে এই ভাইরাসে ডিসেম্বর ২০২৪
সালের উত্তর চিনের এলাকার মানুষের ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আক্রান্ত হচ্ছে
যার কারনে দেশটির সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
করোনার মতনি যেহেতু হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাই বর্তমানে
বিশ্বের মানুষ এই (HMPV) নিয়ে একটু চিন্তাই পরে গেছেন। করোনার মতন এই ভাইরাস
মহামারী নয় কারন এই আগেও এই ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হয়ে এসেছে চিনে এবং ভারতে
এবং বাংলাদেশেও রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ একজন নারী আক্রান্ত হয়েছে। ভয়ের কোনো
কারণ নাই তবে নিজেকে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন আমরা নিচে বিস্তারিত পড়ে ফেলবো
কি কি মেনে চলা আপনার আমার উচিত।
প্রতিটি ভাইরাসের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক
প্রতিটি ভাইরাসের ক্ষেত্রে আমরা মাস্ক ব্যবহার করব কারণ মাস্ক ছাড়া ভাইরাস থেকে
বাচার কোন বিকল্প নাই। এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে আপনাকে অবশ্যই
মাস্ক পরিধান করতে হবে এটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়ায় তায়
আক্রান্ত রোগির হাঁচি, কাশি থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন এছাড়াও আমরা
বিগত বছর গুলো করোনার মহামারী দেখেছি মাস্ক ব্যবহার করে অনেকে এই রোগ থেকে
বেঁচে গেছে তাই বিশেষ করে এই শীতের সময় ভাইরাস রোগ বলাই বেশি হয়ে থাকে তাই নিজে
সর্তক থাকুন মাস্ক ব্যবহার করুন।
এইচএমপিভি আক্রান্ত ব্যাক্তির কাছ থেকে কত ফুট দূরে থাকবেন
এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন তার মধ্যে প্রধানতম কাজের
মধ্যে পরে আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা আক্রান্ত ব্যাকির
সংস্পর্শে এলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ভাইরাস
থেকে ৩ ফুট দূরে থাকতে বলছেন। মহামারী আকার ধারন ক্ষমতা না করতে পারলেও এই
ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকা আমাদের বুদ্ধি মানের কাজ হবে। এই ভাইরাস করোনার মতন
ভয়ের কিছু নাই কারন এই ভাইরাসে প্রতিবছর বিভিন্ন দেশে মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেও এই ভাইরাস অনেক আগে থেকে রয়েছে এবং এই বছর শীতে একজন নারী ও শিশু
আক্রান্ত হওয়ার কথা শোনা যায়। তাই যে কোন ভাইরাসে মানুষের সমাগম যায়গায় দূরত্ব
বজায় রাখুন নিজে সুস্থ্য থাকুন অন্যকে সুস্থ্য থাকতে দিন।
অপরিষ্কার হাত
এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন তার মধ্যে আপনার আমার
আমাদের সকলের কাজ হবে হাত ভালো মতন পরিষ্কার রাখা। আমরা প্রতিনিয়ত নানা কাজে
ব্যস্থ থাকি কখন কোন কাজ করে হাত ঠিক মতন পরিষ্কার না করে মুখ, নাক, চোখ
ইত্যাদি মুখের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ আপনি হতে পানের ভাইরাসে আক্রান্ত। আমরা
সকলেই জানি পূর্বের ভাইরাসের কথা যা আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছে ২০ সেকেন্ড বেশি
সময় ধরে ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। আজকাল শুধু সাবান দিয়ে জীবাণু মুক্ত হয় না
প্রয়োজনে অ্যালকোহল-বেইজড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন আর যাদের নাই তারা
সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করুন।
হাঁচি বা কাশির সময় করণীয়
হাঁচি বা কাশির সময় আপনার করণীয় কাজ। আমরা বাঙালিরা অনেক অসচেতন গুরুত্বপূর্ণ
কাজকে গুরুত্বদিতে জানিনা যার ফলে পরতে হয় সমস্যাই। এইচএমপিভি ভাইরাস রোগ থেকে
বাঁচতে যা যা মেনে চলবেন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি কাশির মাধ্যমে
এইচএমপিভি ছড়ায় তাই কোন ব্যাক্তি যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে অবশ্যই তাকে
মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং মাস্ক না থাকলে হাঁচি কাশির সময় টিসু ব্যবহার করতে
হবে। রুমাল ব্যবহার করা যাবেনা কারণ ঐ রুমাল হাঁচি কাশির পর আপনি যদি আবার
পকেটে রেখে দেন তাহলে সেই রুমালের কারণে বাসার অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে তাই টিসু ব্যবহার করুন এবং হাঁচি বা কাশি শেষে নির্দিষ্ট স্থানে টিসু
ফেলুন যেখানে সেখানে ফেলবেন না এতে অন্যরা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কোন বয়সের মানুষদের (HMPV) ভাইরাসে ঝুঁকি বেশি?
আমরা অনেকে জানিনা কোন বয়সের মানুষের এই এইচএমপিভি ভাইরাসের ঝুঁকি বেশি?
চিকিৎসকের মতে জানা গেছে এই ভাইরাসে সকল বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে তবে
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকাই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
বাচ্চারা। প্রাপ্ত বয়ষ থেকে শুরু করে যেকোন বয়সের মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত
হতে পারে তাই সময় থাকতে সতর্ক থাকুন বিশেষ করে শিশু বাচ্চাদের এই সময়ে খেয়াল
রাখা জরুরী। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি ইত্যাদি
ব্যাপক ভাবে জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
এইচএমপিভি ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ গুলো
এইচএমপিভি ভাইরাসের সাধারণ উপসর্গ গুলো কি কি যা দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই
ভাইরাস রোগে আপনি আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণত ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে উপসর্গ গুলো
প্রকাশ পাই। (HMPV) এই ভাইরাস সাধারণত ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রে আক্রমন
করে যার ফলে প্রথম দিকে ঠান্ডা লেগে জ্বর আশা-জ্বরের সাথে নাক বন্ধ কাশি এবং
শ্বাসকষ্ট হবে যার ফলে রুগির অনেক সমস্যা হবে। আর রুগি যদি শিশু হয় তাহলে
সমস্যা জটিলতা হতে পারে। তাই এরকম লক্ষণ দেখা মাত্রাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
ভয়ের কোন কারণ নাই সঠিক চিকিৎসাই এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
গুরুতর উপসর্গ গুলো কি কি পড়ুন
এতক্ষন আমরা এইচএমপিভি ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছি এখন আমরা
এই ভাইরাসের গুরুতর উপসর্গ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। উপরে আমরা এই ভাইরাসের সাধারণ
উপসর্গ গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। যদি কেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে প্রথম
দিকে তার সাধারণ উপসর্গ গুলো প্রকাশ পাই এবং আসতে আসতে গুরুতর সমস্যাই রোগি
ভুক্তে থাকে গুরুতর সমস্যাই চোলে গেলে রোগির জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
এই ভাইরাসের গুরুতর সমস্যা হলো ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়া হওয়া যদি এরকম পর্যায়
রোগি চোলে যায় তাহলে যত তরাতারি সম্ভব রোগিকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া। শিশু এবং
বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের সংক্রমণ অতি দ্রুত ঘঠে কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা কম তাই গুরুতর হওয়ার আগে সচেতন হওয়া এবং চিকিৎসা নেওয়া জরুরী।
পাঠকের শেষ কথা
এতক্ষন আমরা এইচএমপিভি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি আমরা এই ভাইরাস
থেকে বাঁচতে যা যা মেনে চলবো তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছি। এইচএমপিভি ভয়ের
কিছুই নাই এটি করোনার মতো ভয়ংকর না তবে এই ভাইরাস শুধু চিনেই নয় বাংলাদেশ
ইন্ডিয়া সহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিবছর সনাক্ত হয়ে থাকে তবে এর বিস্তার
বেশি হয়ে গেলে মহামহারী ধারণ করতে পারে। তাই সময় থাকতে আমাদের সচেতন থাকা উচিত
বলে আমরা মনে করি। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এরকম তথ্যমূলক
আর্টিকেল পেতে সাইট ফলো দিয়ে রাখতে পারেন।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url