মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত ছেলে ও মেয়ে উভয়ের নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আজকাল ছেলে ও মেয়ে উভয়ের হস্ত মৈথুনের অভ্যস্থ বিষয় নিয়ে কত দিন পর পর করা উচিত তার সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ করা হবে।
হস্ত মৈথুন করা শরীরের পক্ষে ভালো তবে বেশি করা শরীরকে হীতে বিপরীত করে ফেলবে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
পেজ সূচিপত্রঃ মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
নিচের যেকোন অংশ পড়তে চাইলে জাস্ট ক্লিক করুন
- মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
- হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে
- হস্ত মৈথুনের না করলে কি হয়
- হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
- হস্ত মৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
- হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ইসলাম
- হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- হস্ত মৈথুনের ফলে চুল পড়া
- হস্ত মৈথুনের নিয়ে প্রশ্ন পর্ব
- শেষ কথা
মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত
মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত আমরা অনেকে জানিনা আবার অনেকে জেনেও মানিনা।
প্রতিদিন করতে থাকি আমরা কন্ট্রল করতে পারিনা। মনের ভেতর চিন্তা করি যে আজকে করব
না কিন্তু তা পেরে উঠিনা রাত আসলেই বা দিনের যেকোন সময় নিজের ইচ্ছাতেই করে ফেলি।
পরে আমরা বলি আর করব না কিন্তু আবারও করে ফেলি। করার ফলে আপনার শরীরের শক্তি কমে
যায়।
ভাই ও বোন হস্ত মৈথুন করা শরীরের পক্ষে ভালো কিন্তু তাই বলে যে রেগুলার করবেন এটা
ঠিক না আপনার শরীরের জন্য খারাপ। ছেলে-মেয়ে উভয়ের শরীরের শক্তি কমে যাবে দূর্বল
হয়ে পড়বেন। এক গবেশনায় দেখা যায় বর্তমানে ৯০% ছেলে ও মেয়ে হস্ত মৈথুন করে। যা দিন
দিন বেড়েই চলছে। চিকিৎসার মতে সপ্তাহে ১ বার হস্ত মৈথুন করা উচিত। ১
সপ্তাহে পর পর একবার করবেন। আস্তে আস্তে সময় বৃদ্ধি করবেন।
হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে
হস্ত মৈথুনের পর কি খেতে হবে বেশিরভাগ ছেলে ও মেয়ে জানে যে পুষ্টিকর খাবার খেতে
হয় কিন্তু কোন খাবার গুলো খেতে হয় তা জানানে যার ফলে শরীর দূর্বল থেকে যায়। ছেলে
ও মেয়ে উভয় হস্ত মৈথুন শেষ হলে প্রথমে হাতের কাছে পানি থাকলে পানি খাবেন কারন
তৃষ্ণা লাগে তখন। এরপর রিলেক্স হয়ে শিদ্ধ ডিম,হাফ বয়েল ডিম, দুধ, বাদাম, সুফ, দই,
খাবারের সাথে তৈলাক্ত মাছ, গরুর মাংস ইত্যাদি খান ঘাটতি পূরন হয়ে যাবে।
হস্ত মৈথুনের না করলে কি হয়
হস্ত মৈথুনের না করলে কি হয় আমরা সহজ ভাষায় যেটা হেন্ডাল মারাকে বোঝায়। আপনি যদি
হস্ত মৈথুন না করেন তাহলে আপনার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসবে তারমধ্যে প্রধান
পরিবর্তন হলো আপনার শরীরের আগের মতন শক্তি চলে আসবে। হস্ত মৈথুন যারা রেগুলার করে
তাদের শরীরের পুষ্টি ও শক্তি কমে যায়। হঠাৎ যদি হস্ত মৈথুন মারা কমিয়ে দেয় তাহলে
তার শক্তি আসতে আসতে চলে আসে। আর প্রধান কারন হলো আপনার হারানো যৌবন আপনি ফিরে
পাবেন।
হস্ত মৈথুন করার ফলে যে ক্ষতি করে ফেলেছেন আসতে আসতে ফিরে আসবে তবে হস্ত মৈথুন
বন্ধ করতে হবে তাহলে সম্ভব। হস্ত মৈথুন না করলে আপনার শরীরের শক্তি সহ দেহে শক্তি
জমা হবে, ক্লান্তি আসবে না, মোন ঠিকা থাকবে চাঙ্গা ফিল হবে, কাজ করতে ভালো লাগবে,
একটুতেই হাফিয়ে পড়বেন না, ভালো লাগবে নিজেকে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন থাকবে। ছেলে ও
মেয়ে দুইজনেরি সেম এডভাইস।
হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায়
হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় আমি আমার নিজের ভাষায় বলি ভাই ও বোন সবার জন্য। আমি
বিশ্বাস করি বর্তমানে যে অবস্থা সমাজের, অনলাইন এর জগত, ভিডিও ইত্যাদি থেকে
বাঁচার কোন পথ নেই। তবে ছেলে ও মেয়ে আপনাকে কিছু পরামর্শদি সেটি হলো মোবাইল বা
ল্যাপটপে খারাপ পনু ভিডিও, হট মেয়েদের ভিডিও, ছবি দেখবেন না। রাতে খারাপ ভিডিও
দেখবেন না।
রাত যেগে গালফ্রেন্ড সাথে কথা বলার সময় আজেবাজে কথা বলবেন না। রাস্তা ঘাটে খারাপ
পোশাক পরা মেয়ে দেখলে একবারের বেশি তাকাবেন না। মেয়েরা হ্যান্ডসাম ছেলেকে দেখলে
মনের ভেতর আজেবাজে চিন্তা করবেন না। এইসব হলো শরীরকে উত্তেজিত করার মহা মাধ্যম।
এইসব দেখবেন তো আপনার উত্তেজিত বারবে। আর উত্তেজিত বাড়লেই হস্ত মৈথুন, ফিঙ্গারিং।
তাহলে এইসব থেকে বাচঁতে হলে আপনাকে নিজে থেকে দেখা বন্ধ করতে হবে আর না হয় বিয়ে
করে ফেলুন। আপনি মুসলিম হলে ৫ওয়াক্ত নামায পড়ুন। তাহলে দেখবেন এইসব জগত থেকে আপনি
বেড় হয়ে যেতে পেরেছেন। একবার চেষ্টা করেই দেখুন হয়ত কয়েকদিনে আপনি পারবেন না
কিন্তু চেষ্টা করলে বের হতে পারবেন ১০০% সত্য।
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা ও অপকারিতা মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত জানতে
আমাদের পোস্ট পড়ুন জানতে পারবেন অনেক কিছু। হস্ত মৈথুনের যেমন উপকারিতা রয়েছে
তেমন অপকারিতাও রয়েছে চলুন যেনে নি। তবে উপকারের চেয়ে অপকার বেশি রয়েছে।
উপকারিতা
ভাই ও বোন হস্ত মৈথুনের তেমন কোন উপকারিতা নেই। হস্ত মৈথুন করার ঠিক পড়েই মানসিক
শান্তি লাগে, টেনশন কমে যায় ক্ষনিকের জন্য, রাতে করার পর ঘুম ভালো হয়। যারা
নিয়মিত হস্ত মৈথুন করে তাদের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি হয়।
অপকারিতা
হস্ত মৈথুন করার ফলে আমাদের লিঙ্গে যে ক্ষতিটা হয় সেটাতো আমরা দেখিনা হেন্ডল
মারতেই থাকি রেগুলার। শুনেন আপনি যখন হস্ত মৈথুন করেন তখন আপনার হাতের আঙ্গুল
দিয়ে লিঙ্গে চাপ দেন তখন কি হয় আপনার নুনুর পাতলা চামরায় প্রচুর ঘষা লাগে এতে
আপনার নুনুর চামড়ার ভেতরে ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি থেকে আপনি আপনার যৌবন হারাতে পারেন।
মেয়েদের ক্ষেত্রেও একই কাজ হয়। মেয়েরা যখন তাদের হাতের নখ দিয়ে ফিঙ্গারিং করে তখন
তাদের নখের ঘষাতে যৌনির ভেতরে ক্ষতি হয়। অপকারিতা দেখে নিন।
- বিয়ের পরে যৌন সমস্যাই পরতে পারেন
- শরীর দূর্বল করে দিবে
- লিঙ্গের শক্তি কমে যাবে
- লিঙ্গ ছোট করে দিবে
- বির্য পাতলা হয়ে যাবে
- যৌন সমস্যা হয়ে যাবে
- বির্য পাতলা হলে সন্তান জন্ম দানে ব্যার্থ
- স্মৃতিশক্তি কমে যাবে
- অল্পতেই লিঙ্গ থেকে পানি বের হবে
- মানসিক অস্থিরতা হবে
- খারাপ মেজাজ হয়ে যাবে
অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন শরীরের পক্ষে ভালো না। তাই সময় থাকতে নিজেকে পরিবর্তন করুন।
হস্ত মৈথুন যদি অভ্যাস বেশি থাকে তাহলে একদিনে বন্ধ করতে পারবেন না প্রতিদিন করার
অভ্যাস থাকলে বাদ দিয়ে সপ্তাহে ১বার করার চেষ্টা করুন তারপর ২ স্পতাহ পর
তারপর প্রার্যায়ক্রমে সময় বাড়াতে থাকেন এইভাবে আপনার অভ্যাস আসতে আসতে পরিবর্তন
করুন।
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ইসলাম
হস্ত মৈথুনের উপকারিতা কি ইসলাম কি বলে হস্ত মৈথুনের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
থাকলেও ইসলামের এর কোন উপকারিতা নেই বরং কড়া ভাবে নিষেধ করা আছে হস্ত মৈথুন
নিয়ে। আল্লাহ বলেছেন তোমরা নিজে নিজেদেরকে শেষ করে দিও না। আরো বলেছেন তিনি যে আমাদেরকে সম্পদ (বির্য) দিয়েছেন তার অপব্যবহার করো না। হস্ত মৈথুন করার ফলে আল্লাহর দেওয়া
নিয়ামত আমরা প্রতিদিন নষ্ট করে যাচ্ছি। এর কঠিন শাস্তি ভোগ করতে
হবে।
কিয়ামতের দিন আল্লাহ আমাদের ধরবেন এবং বলবেন তোমরা হস্ত মৈথুন করে যত বির্য
নষ্ট করেছ তা এখন প্রান দিয়ে দেখাও। প্রান দিতে না পারলে আমাদের আঙ্গুলের ভেতর
থেকে বাচ্চা বের হবে এই ভাবে আল্লাহ আমাদেরকে শাস্তি দিবেন। মানে বুঝতেই পারছেন বির্য ভেতর কত গুলো প্রান ছিল আমরা নষ্ট
করেছি।
আমরা যেনে না জেনে এইসব করেছি আল্লাহ ক্ষমা করুক। ইসলামে হস্ত মৈথুন করা
গুনাহর কাজ। যেটিতে আমাদের ক্ষতি সেটি ইসলাম কখনোও সমার্থ দেয় না। মেয়ে ও ছেলে
দুজনের একই কাজ। তাহলে বুঝতে পেরেছেন ইসলামিরে দৃষ্টিতে দেখলে মেয়েদের হস্ত
মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত একদমি মানা। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বিয়ে করে ফেলা। বাসায় বিয়ে না দিলে পরিবারকে বোঝান না
বুঝলে পালিয়ে বিয়ে করুন।
আল্লাহকে শাক্ষি রেখে তাও এই হস্ত মৈথুনের মতন গুনাহের কাজ থেকে মুক্তি থাকুন।
নবী (সাঃ) বলেছেন বিয়ে করতে অক্ষম থাকলে রোজা থাকুন। রোজা আপনার ঘুনাহের কাজ
থেকে বিরত রাখতে সাহায্য করবে। রোজা রাখতে পরার্মশ দিয়েছেন কিন্তু হস্ত মৈথুন
করার পরার্মশ কখনোও দেননি। যারা অমুসলিম আছেন তারা হস্ত মৈথুন থেকে দুরে থাকুন
নিজেকে এই অভ্যাস থেকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন এতে আপনারি লাভ।
হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
হস্ত মৈথুনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা আমরা আমাদের বসায় বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা
করা যাবে। নিয়মিত হস্ত মৈথুন এর ফলে লিঙ্গের অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এতে অনেক
যুবক-যুবতী আসক্ত এর থেকে বের হওয়ার উপায় নিজেকে সংযম থাকতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ে প্রকৃতিক চিকিৎসা করতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে, নিজেকে
ব্যাস্থ রাখতে হবে, কোন রকম খারাপ চিন্তা বা ছবি দেখা যাবেনা, নিয়মিত ব্যায়ম
করতে হবে, মেডিটেশন করতে হবে, রাত যাগা বন্ধ করতে হবে এইভাবে কয়েকদিন করুন
দেখবেন আপনার হস্ত মৈথুনের অভ্যাস আসতে আসতে চলে যাবে।
হস্ত মৈথুনের ফলে চুল পড়া
হস্ত মৈথুনের ফলে চুল পড়া এটি এমন একটি অভ্যাস যার কারনে আমাদের মাথার চুলের
ওপরেও প্রভাব ফেলে। মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত নিয়মিত করলে ভিটামিন এ এর ঘাটতি দেখা দিবে চুলের জন্য ভিটামিন এ দরকার থাকে যা
চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি নিয়মিত হস্ত মৈথুনের অভ্যাস থাকে তাহলে ছেলে মেয়ে উভয়ের চুল পড়া শুরু
হবে। চুল পরা রধ করতে চাইলে আপনার হস্ত মৈথুন অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আপনি
নিয়মিত হস্ত মৈথুনের অভ্যাস বাদ দেন মেডিটেশন করুন প্রতিদিন বাদে সপ্তাহে একবার
করার।
হস্ত মৈথুনের নিয়ে প্রশ্ন পর্ব (FAQ)
প্রশ্নঃ বীর্যপাত কি ইসলামে হারাম?
উত্তরঃ গবেশনায় ইরানী আইনবিদ আলী-সিস্তানি বলেছেন হস্ত মৈথুন করা ইসলামি দৃষ্টিতে
হারাম। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে জায়েজ।
প্রশ্নঃ হস্ত মৈথুনের অর্থ কি?
উত্তরঃ নিজের যৌনাঙ্গ নিজে থেকে যৌনতৃপ্তি উপভোগ করা।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন সহবাস করলে কি হয়?
উত্তরঃ নিয়মিত সহবাস করলে শরীরে থাকা টেস্টোস্টেরন হরমন এর ঘাটতি দেখা যায় এইজন্য
পর্যাপ্ত পুষ্টি খাবার খেতে হবে।
প্রশ্নঃ অতিরিক্ত বীর্য ফেললেকি হয়?
উত্তরঃ অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করলে ছেলেদের লিঙ্গ ও মেয়েদের যৌনাঙ্গ দুর্বল হয়ে
যায়।
প্রশ্নঃ অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করলে কি হয়?
উত্তরঃ অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করলে আপনার যৌনাঙ্গে শিথিলতা আসতে পারে আপনার লিঙ্গ
মিলনের সময় শক্ত না হতে পারে।
শেষ কথা
মেয়েদের হস্ত মৈথুনের কত দিন পর করা উচিত ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বর্তমান সময়ে হস্ত মৈথুনের
প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে নিজের ওজান্তেই নিজের ক্ষতি সাধান করছে। পাঠকের মতে আমি
নিজে থেকে একটি পরামর্শ দিব আপনাদের যে হস্ত মৈথুন যত তারাতারি সম্ভব এই অভ্যাস
ত্যাগ করুন আপনার জন্য ভালো এবং আপনার ভবিষ্যৎ প্রজেন্মর জন্য ভালো। এরকম
গুরুত্বপূর্ন তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের সাইট ফলো দিয়ে রাখুন ধন্যবাদ।
নেক্সাস আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url